এম মনির চৌধুরী রানা : নবগঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। 


গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) মো. ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক ও লায়ন হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।


ঘোষণাকৃত কমিটিতে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ নুরুন্নবী চৌধুরী, ১০নং আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হামিদুল হক মন্নান ও বোয়ালখালী পৌরসভার সাবেক আহবায়কও পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আবুল কালাম আবুর নাম না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জুড়ে তাঁদের কর্মিদের নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।


ফেইসবুকে সাহাদাত হোসেন জিকা বলেন - Shahadat Hossain Jiku Shahadat ইসহাক ভাই, মন্নান ভাই রাজপথের পরীক্ষিত শহীদ জিয়ার আর্দশের সৈনিক। 
স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের যে আন্দোলনের ঘোষণা, সে আন্দোলনে রাজপথ দখল করার জন্য যখন কেউ ছিলনা, তখন ইসহাক ভাই, মন্নান ভাই আন্দোলনে - আওয়ামীলীগ ও পুলিশ লীগের সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে বোয়ালখালীর রাজপথ দখল করেছিলেন। 


দিনশেষে তাদের মূল্যয়ন করা হয়নি। 
খুবই দুঃখজনক...!
দল থেকে যেটা আশা করা হয়নি সেটাই হয়েছে, শুধু মাত্র নগ্ন গ্রুপিং এর কারণে। 
জয় হোক আওয়ামী পূর্ণবাসনকারীদের।


ফেসবুকে আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ইনশাআল্লাহ্ সব সময় হামিদুল হক মন্নানের সাথে আছি। সামনে ভালো কিছু আশা করছে।


ইয়াছিন আরাফাত রাফি লিখেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বলেছিলেন ১৭ বছরে আওয়ামী স্বৈরশাসকের আমলে বিএনপির মিছিলে পিছনে থাকা লোকটি ও পরিচয় পাবে, কিন্তু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহব্বায়ক কমিটি দেখে বুঝা যায় বিপরীত সমিকরণ। বিগত স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগের শাসনামলে খুনী হাসিনার হাতে গুম হওয়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র ব্যক্তি বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি ও আহলা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাঁচা। বাঁচা চেয়ারম্যান গু/ম হবার পর ২০১০ সাল থেকে যখন স্বাধীনতার পরবর্তী বিএনপির চরম দূর্দিন চলে আসে, তখন দলের হাল ধরেন বাঁচা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই হামিদুল হক মন্নান। ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হামিদুল হক মন্নান বিপুল ভোটে ১ম বারের মতো ওনার পরিবার হতে ৩য় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শুরু হয় ওনার রাজনৈতিক সংগ্রাম। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। 


মো.মনিরুল হক রোমন লিখেছেন, ভাই কমিটিকে স্বাগতম। বিএনপি'র রাজনীতি নই বরং ভাই রাজনীতি জিন্দাবাদ।


ফেসবুকে জহিরুল ইসলাম রাসেল বলেন -
সদ্য নবনির্বাচিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক কমিটিতে বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সবচেয়ে নির্যাতিত সাবেক জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের সভাপতি আলহাজ্ব নূরনবী চৌধুরী নাম না থাকা বড়ই হতাশ ও দুঃখজনক তিনি আওয়ামীলীগ আমলে কারা নির্যাতিত বর্তমান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক দায়িত্ব পালন করে আসতেছেন। ৫ আগস্ট ২৪ পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিগত ১৭ বছরে মাফিয়া সরকারের হতে কয়েকবার কারাবন্দি ও অসংখ্য মামলার আসামি। উনাকে মূল্যায়ন করার জন্য কেন্দ্র ও জেলা নেতৃবৃন্দর কাছে বিশেষ আহ্বান জানাচ্ছি।


এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী বলেন, কমিটিতে যুবদলের নেতারা স্থান পায়, প্রবাসীরা স্থান পায় আর আমি রাজপথে আন্দোলন, সংগ্রাম, নির্যাতন সহ্য করার পরেও শুধুমাত্র গ্রুপিং রাজনীতির ষড়/যন্ত্রের কারণে কমিটিতে স্থান পেলাম না বলে মনে করি। 


উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হামিদুল হক মন্নান বলেন, আমি যেহেতু আবু সুফিয়ানের সাথে রাজনীতি করি সেহেতু আমি ষড়/যন্ত্রের স্বীকার হয়েছি। এ ছাড়া আমি আর কিছুই দেখতেছি না। আমি আন্দোলন, সংগ্রামে ছিলাম। শুধুমাত্র গ্রুপিং রাজনীতির কারণে কমিটি থেকে বাদ পড়লাম। 


আবুল কালাম আবু বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আমি বিধায় আমাকে কমিটিতে রাখা হয়নি বলে মনে করছি।